ইয়াহুদী জাতি।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন, "সূরা ফাতিহার শেষ আয়াতে আল্লাহ অভিশপ্ত বলতে
ইয়াহুদীদেরকে বুঝিয়েছেন। কেননা তারা সত্য জেনেও অস্বীকার করেছে।"
বর্তমান সময়ে ইয়াহুদীদের একটি
রাজনৈতিক আন্দোলন হলো যায়োনিজম। ইজরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল হোতা তারাই।
১৮৯৫ সালে ইয়াহুদি রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন থিওডোর হার্জেল। নাম- The Jewish State. তিনি ১৮৯৭ সালে
সুইজারল্যান্ডে বাসেল সম্মেলনের আয়োজন করেন। তারা একটা গোপন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন
যার নাম- Protocols of the Elders of Zion। যা এক মহিলা ফ্রিম্যাসন লজ থেকে চুরি
করে তার প্রেমিক রুশ পাদ্রী প্রফেসর নাইলাসকে দেয়। যা ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়।
কী এই Protocol?
থিওডর হার্জেল |
‘প্রটোকল‘ (Protocol) পুস্তক একটি মূল্যবান দলীল। বইটিতে বলা হয়েছে কীভাবে পুরো পৃথিবীতে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে ইয়াহুদীরা। আপনারা শাইখ উসামার মুখে অনেকবারই শুনে থাকবেন সাপের মাথা শব্দটি। এটি মূলত ইয়াহুদীদের অগ্রগামীতার প্রমাণ বহন করে।
দুনিয়ার মানুষকে সর্বপ্রথম এ বইটি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রফেসর সারকিল এ নাইলাস নামক জনৈক গোঁড়া রুশীয় পাদ্রী। ১৯০৫ সালে প্রফেসর নাইলাস নিজে উদ্যোগী হয়ে বইটি প্রকাশ করেন। বইয়ের ভুমিকায় তিনি উল্লেখ করেন যে, “ইহুদী ফ্রি-ম্যাসন ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রস্থল” ফ্রান্সের একটি ফ্রি-ম্যাসন লজ থেকে জনৈক মহিলা (সম্ভবতঃ হিব্রু ভাষায় লিখিত) মূল বইটি চুরি করে এনে তাঁকে উপহার দেন। উল্লেখ্য যে, এ ঘটনার পর কোন মহিলাকেই আর ফ্রি-ম্যাসন আন্দোলনের সদস্য করা হয়না। সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মহিলারা ফ্রি-ম্যাসন লজে যাবার অনুমতি পেলেও বৈঠকাদির সময় তাদের বের করে দেয়া হয়। ১৯১৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রফেসর নাইলাস এ বইয়ের একটা নয়া সংস্করণ তৈরী করেন এবং বাজারে বের হবার আগেই ঐ বছর মার্চ মাসে রাশিয়ায় কম্যুনিষ্ট বিপ্লব সংঘটিত হয়। জার সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দলখকারী কীরিনিস্কী সরকার প্রটোকলের সকল কপি বিনষ্ট করে ফেলে। কারণ এ বইয়ের মাধ্যমে রুশ বিপ্লবের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার আশঙ্কা ছিলো। নাইলাসকে গ্রেফতার করে জেলে নিক্ষেপ করা হয় এবং অমানুষিক দৈহিক নির্যাতনের পর তাকে রাশিয়া থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। ১৯২৯ সালের ১৩ই জানুয়ারী তিনি ভ্লাডিমিরে মারা যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও বইটির এত চাহিদা হয়েছিলো যে, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত এর ৪টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
ছাপানো পুস্তক ছাড়া পাতলা কাগজে টাইপ করেও
এটি প্রকাশ করা হয়েছিলো। ধান পাতার তৈরী এক প্রকার কাগজে লেখা একটি প্রটোকল পুস্তক
সাইবেরিয়া অঞ্চলে প্রচার
করা হয়েছিলো। এরই এক কপি ১৯৩৯ সালে আমেরিকায় পৌঁছে এবং সেখানে এর অনুবাদ প্রকাশিত
হয়।
প্রটোকোলের ইংরেজী অনুবাদক ছিলেন ভিক্টরই মারসডেন (Victor E. Marsden)। ইনি একজন ইংরেজ সাংবাদিক। দীর্ঘকাল রাশিয়ায় বসবাস করে এক রুশ মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন। তিনি মর্নিং পোষ্ট পত্রিকার রুশীয় সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করতেন। ১৯১৭ সালের বিপ্লব তিনি স্বচক্ষে দেখে এর লোমহর্ষক হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ সংবাদপত্রে প্রেরণ করেন। এজন্য তাঁকে গ্রেফতার করে দু’বছর “পিটার পল” জেলে রাখা হয় এবং সেখান থেকে মুক্তির পর ইংল্যান্ডে ফিরে এসে তিনি বৃটিশ মিউজিয়ামে বসে প্রটোকোলের তরজমা করেন।বলশেভিক বিপ্লবের পর রাশিয়া থেকে পালিয়ে যে সব লোক আমেরিকা ও জার্মানীতে আশ্রয় নেয়, তারাও প্রফেসর নাইলাস অনুদিত প্রটোকোলের কিছু কপি সঙ্গে নিয়ে আসে। নাইলাস ধর্মে খৃষ্টান ছিলেন। তিনি স্বীয় ধর্মকে ইহুদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই এ বইটি বিশ্ববাসীর কাছে পেশ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন।
এ বইটির পাতায় পাতায় আপনার মনে হবে, "হায়! সবই তো তাদের প্ল্যানানুযায়ী হচ্ছে। হায়! আমিও তো এ প্ল্যানের অন্তর্ভূক্ত!"
বাঁচতে হলে জানতে হবে। এখনই পড়ে নিন বইটি।
মূল বইটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন- এখানে ।